-->

ব্রেকিং নিউজ

১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে মূল মার্কেটে মুন্নু সিরামিক, আজিজ পাইপ ও কেএন্ডকিউ!



সত্যনিউজ



সত্যনিউজ: পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত কোম্পানির মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ফাঁস হওয়ার ঘটনা 'ওপেন সিক্রেট'। এখন খোদ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সভার ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। কোন বিষয়ের ওপর কমিশন সভায় কী সিদ্ধান্ত হতে যাচ্ছে- তা নিয়ে বাজারে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ছে। অনেক ক্ষেত্রে গুঞ্জনই সত্য হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে শেয়ার লেনদেনে, বিনষ্ট হচ্ছে বাজার শৃঙ্খলা।





আজ বুধবার কমিশন সভা রয়েছে। অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ঘটনায় বাধ্যতামূলক 'স্পট মার্কেটে' রাখা মুন্নু সিরামিক, কেঅ্যান্ডকিউ এবং আজিজ পাইপসের শেয়ার কারসাজি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে গতকাল বাজারে আলোচনা ছিল। দায়ীদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পাশাপাশি তিন কোম্পানির লেনদেন 'স্পট' থেকে নরমাল মার্কেটে আনা হবে বলে গুঞ্জন ছিল। আরও গুঞ্জন আছে, শেয়ারবাজারের এখনকার আলোচিত ব্যক্তি সাইফুল ইসলামের (প্রিমিয়ার ব্যাংক ব্রোকারেজ হাউসের সিইও) স্ত্রী আসমা চৌধুরীর শেয়ার কেনাবেচার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। এমন গুঞ্জনে মঙ্গলবার স্পটে থাকা তিন কোম্পানির দর ও লেনদেন বেড়েছে।

এর আগেও বিএসইসির কমিশন সভার তথ্য ও সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত ফাঁস হয়েছে। অন্তত দু'বার সংস্থার শীর্ষ নেতৃত্বসহ দায়িত্বশীলদের কমিশন সভার সিদ্ধান্ত হওয়ার আগে বা সভা চলাকালে তথ্য ফাঁসের বিষয়টি নজরে আনা হয়। প্রথমবার ২০১৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কমিশন সভার আগে ইফাদ অটোসের রাইট পাস হচ্ছে বলে বাজারে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।

এ ছাড়া গত ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় লিগ্যাসি ফুটওয়্যার ও বিডি অটোকার কোম্পানির শেয়ার কারসাজির ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং কোম্পানি দুটিকে বাধ্যতামূলক স্পট মার্কেট থেকে নরমাল মার্কেটে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হচ্ছে বলে কয়েকদিন আগেই বাজারে গুজব ছড়িয়ে পড়ে।

বিএসইসি’র কমিশন সভার সিদ্ধান্ত ফাঁসের বিষয়ে জানতে চাইলে সংস্থাটির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী ‘এমন তথ্য ফাঁস হওয়ার কোনো সুযোগ নেই বা সুযোগ থাকা উচিত নয়’ মন্তব্য করে বলেন, এমন হতে থাকলে বাজারের শৃঙ্খলা থাকে না। অবিলম্বে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিরুদ্ধে আগাম তথ্য ফাঁসের অভিযোগ প্রায়শ দেখা যায়। এটি স্থিতিশীল বাজারের জন্য কোনভাবেই শুভ নয়। এ বিষয়ে বিএসইসির কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।

তবে এ বিষয়ে বিএসইসির কোন কর্মকর্তা মন্তব্য করতে রাজি হননি।

1 comment:

Thanks for Commends