-->

ব্রেকিং নিউজ

নিউমোনিয়া রোগীর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা কার্যকরীতা।

সত্যনিউজ:  ইংরেজি: Pneumonia ফুসফুসের প্রদাহজনিত একটি রোগের নাম।ইহা হল ফুসফুসের প্যারেনকাইমার প্রদাহ বিশেষ। সাধারণত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক সংক্রমণের কারণে নিউমোনিয়া হয়। নিউমোনিয়া মৃদু বা হালকা থেকে জীবন হানিকরও হতে পারে। নিউমোনিয়া থেকে ফ্লু হবারও সম্ভাবনা থাকে। নিউমোনিয়া সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তিদের, যারা দীর্ঘদিন রোগে ভুগছেন অথবা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল বা কম তাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে তরুণ, অল্প বয়স্ক, স্বাস্থ্যবান লোকদেরও নিউমোনিয়া হতে পারে। ফুসফুসে স্ট্রেপটোকক্কাস জাতীয় ব্যাকটেরিয়া কিংবা শ্বাসযন্ত্রের সিনসিশিয়াল ভাইরাস (আরএসভি) সংক্রমণ ঘটালে ফুসফুস ফুলে ওঠে, ভরে ওঠে পুঁজে বা তরল পদার্থে, যা অক্সিজেন গ্রহণ করে নিঃশ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তখন ফুসফুসে প্রদাহ হয়।
Sottonews.net_pneumonia 


নিউমোনিয়ার মূল লক্ষণ হলো ঘনঘন শ্বাস নেওয়া এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের গরীব দেশগুলোতে একশটি শিশু মারা গেলে দেখা যায় তার পঁচানব্বই জনেরই মৃত্যুর কারণ নিউমোনিয়া। । সাথে জ্বর, কাশি, মাথা ব্যথা, বুকে ব্যথা, ভীষণ শীত বোধ করা ইত্যাদি থাকে। শিশুদের শ্বাস নিতে কষ্ট হলে প্রত্যেক পিতা-মাতাকে অবশ্যই বিষয়টিকে একটি ইমারজেন্সী সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। নিউমোনিয়া রোগটি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় খুব সহজেই সারানো যায়।তবে নিউমোনিয়ার এলোপ্যাথিক চিকিৎসায় যে-সব হাই পাওয়ারের ভয়ঙ্কর বিষাক্ত এন্টিবায়োটিক শিশুদের খাওয়ানো হয়, তাদের বিষাক্ত ছোবলে শিশুদের স্বাস্থ্য চিরস্থায়ীভাবে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে কেউ কেউ কয়েক বছরের জন্য এবং কেউ কেউ সারাজীবনের জন্য কঙ্কালে পরিণত হয়ে থাকে। যেহেতু অধিকাংশ শিশুই এসব তিতা সিরাপ খেতে চায় না অথবা খেলেও বমি করে ফেলে দেয়, সেহেতু এলোপ্যাথিক ডাক্তাররা তাদেরকে ইনজেকশনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যেহেতু অধিকাংশ শিশুরই শরীরে মাংশ কম, ফলে ইনজেকশান নিতে এই নিষ্পাপ শিশুদের যে অবনর্ণীয় যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়, তা স্বচক্ষে না দেখলে কেউ অনুভব করতে পারবেন না। অথচ হোমিওপ্যাথিতে কেবল মিষ্টি মিষ্টি ঔষধ মুখে খাওয়ানোর মাধ্যমে খুব সহজেই নিউমোনিয়া এবং টাইফয়েডসহ শিশুদের অধিকাংশ জটিল ইমারজেন্সী রোগ সারিয়ে দেওয়া যায়। এমনকি ঔষধ খাওয়াও লাগেনা, কেবল জিহ্বার ওপরে রাখতে পারলেই চলে। তাছাড়া খরচও এলোপ্যাথিক চিকিৎসার তুলনায় অন্তত একহাজার গুণ কম। আর সময়?
যদি রোগীর সমস্ত লক্ষণের সাথে মিলিয়ে সঠিক হোমিও ঔষধটি রোগীকে দেওয়া যায়, তবে রোগমুক্তি হবে অন্য যে-কোন চিকিৎসার চাইতে অন্তত দশগুণ দ্রুত গতিতে। পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া?
বিষক্রিয়া?এসব হোমিও ঔষধের ক্ষতিকর কোন প্রতিক্রিয়া তো নাই-ই ; বরং এগুলো একই সাথে শরীরের জন্য ভিটামিনের কাজও করে থাকে।

Aconit Nap: যদি দেখেন কোন শিশু রোগী হঠাৎ অনবরতঃ চিৎকার করতে থাকে কিছুতেই চিৎকার থামানো যায় না। ইহা নিউমোনিয়ার পূর্ব লক্ষণ মনে করবেন। এমনতো অবস্থায় একোনাইট ৩০ শক্তি প্রয়োগ করবেন। আর যদি দেখেন রোগীর শুষ্ক কাশি সহ বুকে ব্যথা হয়, রোগীর মৃত্যু ভয়, অস্থিরতা ও পানি পিপাসা হয় তখন একোনাইট অব্যর্থ মহৌষধ।

Bryonia Alba: ব্রায়োনিয়া ঔষধটি নিউমোনিয়ার জন্য আল্লাহ্‌র একটি বিরাট রহমত স্বরূপ। সাধারণত নিম্নশক্তিতে খাওয়ালে ঘনঘন খাওয়াতে হয় কয়েকদিন কিন্তু (১০,০০০ বা ৫০,০০০ ইত্যাদি) উচ্চশক্তিতে খাওয়ালে দুয়েক ডোজই যথেষ্ট। হ্যাঁ, অধিকতর জটিল কেইসের ক্ষেত্রে কয়েকদিন খাওয়ানো লাগতে পারে। আপনি যদি বড়িতে উচ্চশক্তির এক ড্রাম ব্রায়োনিয়া কিনে আনেন এবং তা থেকে একটি বড়ি আধা বোতল পানির সাথে মিশান এবং তা থেকে এক চায়ের চামচ পানি করে রোগীকে রোজ ৩ বার করে অথবা আরো ঘনঘন খাওয়ান ; এভাবে দুইদিন, চারদিন অথবা ছয়দিন পর যখন নিউমোনিয়া সেরে যাবে, তখন যদি আপনি হিসেব করেন তবে দেখতে পাবেন যে, নিউমোনিয়া সারাতে আপনার খরচ হয়েছে ১০ পয়সা অথবা বেশীর পক্ষে ২০ পয়সা। অথচ এলোপ্যাথিতে নিউমোনিয়া সারাতে ৫০০ টাকা দামের হাই-পাওয়ারের এন্টিবায়োটিক ইনজেকশান দিতে হয় ১৪টি। ডাক্তারের ফি, নানা রকমের টেস্ট, হাসপাতালের বেডচার্জইত্যাদি সব মিলিয়ে অনেক ক্ষেত্রে অর্ধ লক্ষ টাকার মতো বিল আসতে দেখা যায়। এখন বলুন, হোমিওপ্যাথি মানবজাতির জন্য আল্লাহ্‌র এক বিরাট রহমত কি না ?

Antimonium tartaricum: এন্টিম টার্টের প্রধান লক্ষণ হলো কাশির আওয়াজ শুনলে মনে হয় বুকের ভেতর প্রচুর কফ জমেছে কিন্তুকাশলে কোন কফ বের হয় না।রেগে গেলে অথবা খাওয়া-দাওয়া করলে কাশি বেড়ে যায়। জিহ্বায় সাদা রঙের মোটা স্তর পড়বে, শরীরের ভেতরে কাঁপুনি, ঘুমঘুম ভাব এবং সাথে পেটের কোন না কোন সমস্যা থাকবেই। কাশতে কাশতে শিশুরা বমি করে দেয় এবং বমি করার পর সে কিছুক্ষণের জন্য আরাম পায়। শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার কারণে নাকের পাখা দ্রুত উঠানামা করতে থাকে।

Ipecac: ইপিকাক শিশুদের নিউমোনিয়ার অারেকটি জরুরি ঔষধ। ইহার প্রধান লক্ষণ হলো (যে-কোন রোগই হোক না কেন,তার সাথে)বমিবমি ভাব থাকে এবং জিহ্বা পরিষ্কার থাকে।এই ঔষধটি শিশুদের সবচেয়ে বড় বন্ধু। কারণ শিশুদের পেটের অসুখ এবং কাশি-নিউমোনিয়া বেশী হয় আর ইপিকাক এইসব রোগে দারুণ কাজ করে।

Phosphorus: নিউমোনিয়া বা এই জাতীয় বিপদজ্জনক রোগে আমাদেরকে অবশ্যই কথা মাথায় রাখতে হবে।ফসফরাসের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো রোগী বরফের মতো কড়া ঠান্ডা পানি খেতে চায়,মেরুদন্ড থেকে মনে হয় তাপ বেরুচ্ছে, হাতের তালুতে জ্বালাপোড়া,একা থাকতে ভয় পায়, অন্ধকারে ভয় পায় ইত্যাদি ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে সেটি আপনার চোখে ছানি সারিয়ে দিবে।

Sulphur: সালফার হলো বহুমুখী গুণাবলীসম্পন্ন ঔষধগুলোর একটি। নিউমোনিয়াতে যদি সালফারের লক্ষণ পাওয়া যায়, তবে সালফার প্রয়োগ করতে হবে। কোন রোগীকে সালফার দিতে হবে, তা চেনার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো, দেখবেন রোগী শরীরে যত ছিদ্র আছে সেখানকার রঙ টকটকে লাল হয়ে যাবে। যদি দেখেন যে, রোগী মুখের ভেতরটা, নাকের ভেতরটা, পায়খানার রাস্তা অথবা প্রস্রাবের রাস্তার রঙ টকটকে লাল হয়ে আছে, তবে তাকে নিশ্চিন্তে সালফার দিতে পারেন। সালফারের অন্য কোন লক্ষণ না থাকলেও চলবে। সে যাক, সালফারের প্রধান প্রধান লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে


এসডি সাইমন্স
ডিএইচএমএস


1 comment:

Thanks for Commends